পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : স্বামীর বৈধ অধিকারকে তোয়াক্কা না করে পর পুরুষদের সাথে আপত্তিকর কাজ কর্ম করার অভিযোগ উঠেছে সারেংকাঠীর মিজানের স্ত্রী মাহিমার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে সারেংকাঠী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারেজ সিকদারের পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আর সেই সূত্র ধরেই হারেজ সিকদারের হাবাগোবা স্বভাবের ছেলে রশিদ সিকদারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফান্দে ফেলে মামলায় জড়িয়ে ফেলে বিতর্ক সৃষ্টি করে মিজানের স্ত্রী মাহিমা। যদিও এলাকায় একটা গুজব ছড়ানো হয়েছে জায়গা জমির বিরোধ নয়। বরং রশিদ সিকদার(২৫) মিজানের স্ত্রীর সাথে গত এক সপ্তাহ আগে রাত্রি বেলা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য মাহিমার ঘরে প্রবেশ করে বলে। মাহিমার ভাষ্য মতে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, রশিদ সিকদার রাতের বেলা হঠাৎ ঘরে প্রবেশ করে এবং তড়িৎগতিতে মাহিমার মুখ চেপে ধরে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হওয়ার এক পর্যায়ে মাহিমা ঘর থেকে বের হয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানান।
এদিকে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন বলেন, আসলে রশিদ সিকদার একটু হাবাগোবা ও মাদকে আসক্ত থাকার সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু রশিদ সিকদার নীতি হীন বা লম্পট নয়।সরেজমিনে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা সারেংকাঠী এলাকায় গিয়ে আসল বিষয়ের সত্যতা যাছাই বাছাই করার চেষ্টা করেন। এলাকায় সাধারণ মানুষের ভাষ্য, মুক্তিযোদ্ধা হারেজ সিকদারের সকল ছেলেরা কিন্তু চমৎকার। শুধু রশিদ সিকদার কিছুটা বিতর্কিত নানা কাজ কর্মের মধ্যে। অথচ মেঝ ছেলে সহিদ সিকদার স্কুলের শিক্ষক আর বড় ছেলে মোঃ নজরুল সিকদার একজন কলেজ প্রভাষক। অথচ গ্রামের কুট কৌশলের রাজনীতির প্রতিহিংসার স্বীকার মুক্তিযোদ্ধা হারেজ সিকদারের পরিবারের লোকজন। সরেজমিনে এলাকার অনেক কিছুই ফুটে উঠে মিডিয়ার কাছে। কিন্তু মিজানের পক্ষের লোকজন মাহিমাকে ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যাবহার করে সিকদার পরিবারের মান সন্মান নিয়ে ছিনিমিনি ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে রশিদের মেঝ ভাই সহিদ সিকদার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের পর পরই এলাকার কিছু কিছু বিপদগামী লোকজন অতি উৎসাহী হয়ে সহিদ সিকদারের উপর হামলা করে বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। পাশাপাশি রশিদ শিকদারকে গণ পিটুনি দেয়। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, অপরাধ করলে রশিদ সিকদার করেছ কিন্তু সহিদ সিকদার কে আঘাত করা ঠিক হয়নি। তাছাড়া সমাজের একটি পক্ষ মাহিমাকে ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যাবহার করে মামলা সহ ফায়দা নিতে সদা জাগ্রত। অবশ্য ঘটনার তদন্তে নেছারাবাদ থানার তদন্ত অফিসার মোঃ আউয়াল মাহিমার জবান বন্দি রেকর্ড করেন। পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কয়েকজন গণ মাধ্যম কর্মীরা মিজানের স্ত্রী মাহিমার কথা সহ বিস্তারিত ঘটনার স্বীকারোক্তি ভিভিও ফুটেছে দারণ করেন। মিডিয়ার নানা প্রশ্নের জবাব দিতে কিছুটা হিমশিম খায়। আসলে মাহিমার বিষয়ে এলাকার কিছুকিছু লোকজন ভালো তথ্য প্রধান করেননি। বিগত সময়ে কম বেশি ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। যদিও এলাকার লোকজন কোন রকম প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছিল না। কিছু বললেই হয়তো হামলা বা মামলার ভয় কাজ করতো সকলের মধ্যে। তবে সর্বশেষ তথ্য মতে মিজানের পরিবার নিজ স্ত্রীর অপবাদ ঢাকার জন্য অতি উৎসাহী হয়ে মামলায় যায়। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসল ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অহেতুক মামলা দিয়ে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে স্থানীয় মেম্বার সহ চেয়ারম্যান গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে এলাকার স্বার্থে মামলায় যাওয়া ঠিক হয়নি বলে জানান। তবে এলাকার স্বার্থে সকলে মিলে মিশে থাকাটাই উত্তম বলে মনে করেন। তবে রশিদ সিকদার মিডিয়াকে বলেন, এলাকার কিছু কিছু লোকজন আমাকে বলির পাঠা বানিয়েছে। পাশাপাশি আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।